জনদরদি রাজনীতি আপাতত অব্যাহত থাকবে

নভেম্বর মাসের একই সপ্তাহে আর্জেন্টিনা এবং নেদারল্যান্ডসের জাতীয় নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত ভাবে দুই চরম দক্ষিণপন্থী প্রার্থীর জয় হয়ে গেল। আর্জেন্টিনার ক্ষেত্রে (মূলত) অরাজনৈতিক এক ট্রাম্প-ঘরানার ব্যক্তিত্ব প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়ে গেলেন। তাঁর অন্যতম প্রতিশ্রুতি, তিনি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক তুলে দেবেন। এটা আর্জেন্টিনার লাগামহীন মুদ্রাস্ফীতির (বর্তমানে বাৎসরিক মুদ্রাস্ফীতির হার ১৫০ শতাংশ) মোকাবিলায় তাঁর দাওয়াই। আশ্চর্যের ব্যাপার, ভোটারদের এই প্রতিশ্রুতি খুব পছন্দ হয়েছে।

নেদারল্যান্ডসের প্রেক্ষাপট একটু আলাদা। সেখানে অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা নেই। কিন্তু আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা উদ্বাস্তু তথা মুসলিম শরণার্থী নিয়ে একটা দীর্ঘকালীন ক্ষোভ রয়েছে ইউরোপের মানুষের। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পরে আরও এক দফার উদ্বাস্তু আগমন হয়েছে, তবে তারা অর্থোডক্স খ্রিশ্চান এবং শ্বেতাঙ্গ, নেদারল্যান্ডসের মানুষ মূলত প্রটেস্টান্ট। এই সব নানাবিধ কারণে সামাজিক টেনশন বাড়ছে, অর্থনৈতিক চাপও বাড়ছে। নেদারল্যান্ডসের রাজনীতিতে উগ্র দক্ষিণপন্থী দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার কথা নয়। কিন্তু বহুমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গ্রিট অয়াইল্ডারের এই দলটি সবাইকে পিছনে ফেলে কোয়ালিশন সরকার গড়ার মূল দাবিদার হয়ে গেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!