মগজে দিন শান, নয়তো মিলিয়ে যান
অক্টোবর ১৯৯৮। প্রথম আত্মপ্রকাশ। খুব সস্তার নিউজপ্রিন্টে ফিনফিনে প্রচ্ছদ মলাটে: বিশ্বায়ন। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৯৯ সালে এক মাসের ছোট্ট বিরতি নিয়ে সেই যে দু’ মাস অন্তর নিয়ম করে মাসের প্রথম তারিখে প্রকাশ পেতে শুরু করল, ‘একক মাত্রা’কে আর থমকে দাঁড়াতে হয়নি। গত দু’ দশকেরও বেশি সময় ধরে এ হেন বিষয় নেই যা ‘একক মাত্রা’ ধরার চেষ্টা করেনি। একেকটি প্রাসঙ্গিক বিষয় ধরে প্রচ্ছদ কাহিনি তৈরির পাশাপাশি অন্যান্য চলমান ঘটনাবলীতেও আলোকপাত করার প্রয়াস অটুট থেকেছে। সব মিলিয়ে বাংলা ভাষীদের কাছে ‘একক মাত্রা’ হয়ে ওঠে এক অবিস্মরণীয় যাত্রাপথ। কত সহস্র মানুষের আলাপনে, অংশগ্রহণে ‘একক মাত্রা’ হয়ে দাঁড়ায় সমাজচর্চা ও অনুশীলনের এক তর্কপ্রিয় দিকনির্দেশ।
সময় পাল্টেছে। সেই সঙ্গে বলাই বাহুল্য, গত দু’ বছরের কোভিড পরিস্থিতি আমাদের চারপাশকে বহু অর্থে বদলে দিয়েছে। তরুণ প্রজন্মের চলাচল ও ব্যবহারিক আঙ্গিকে এসেছে বহুধা পরিবর্তন। অনলাইন যাপন জীবনের এক অপরিহার্য অংশভাক হয়ে উঠেছে। পাঠের জগতেও এর প্রভাব এখন সর্বব্যাপ্ত। মানুষ বেশি বেশি করে অনলাইনেই জানতে, বুঝতে ও নিজেকে প্রকাশ করতে চাইছেন। খুব সহজে বহু পাঠকের কাছে তা এক লহমায় পৌঁছে যেতেও সক্ষম। ‘একক মাত্রা’ এই নবতর উন্মেষ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে পারে না।
তাই, আমরাও এখন অনলাইন। অনলাইনের পাশাপাশি অল্প কিছু মুদ্রণ কপিরও বন্দোবস্ত থাকবে কিন্তু প্রধানত অনলাইন পত্রিকা হিসেবেই এখন থেকে ‘একক মাত্রা’র নিয়মিত প্রকাশ হবে। ধীরে ধীরে পুরনো সংখ্যাগুলির একটি অনলাইন আর্কাইভও আমরা গড়ে তুলব।
দু’ দশক পেরিয়ে এই নতুন যাত্রাপথে আমাদের পুরনো ও নতুন পাঠকেরা সর্বতোভাবে আমাদের পাশে থাকবেন, এই আশা নিশ্চয়ই করতে পারি!
১ সেপ্টেম্বর ২০২২