ওষুধ কোম্পানিগুলির হাতেই চিকিৎসা-বিজ্ঞানের ভার

ব্যাধি কি স্বাস্থ্যের প্রবল প্রতিপক্ষ? এই দুইয়ের মধ্যেকার সম্পর্ক কি সততই বৈরিতার? না অবিচ্ছিন্ন সহাবস্থানের? ব্যাধির বিরুদ্ধে যুযুধান হলেই কি নির্ব্যাধি, সুস্বাস্থ্য সুনিশ্চিত? প্রশ্নগুলো অনেকদিন ধরেই জনস্বাস্থ্যের গবেষক এবং চিন্তাবিদদের ভাবাচ্ছিল, তবে আমজনতাকে সেভাবে আলোড়িত করেনি। পরিস্থিতি হঠাৎই বদলে গেল গত আড়াই বছরে। কোনও একটি ব্যাধিকে কেন্দ্র করে আমাদের অর্থনৈতিক জীবন আবর্তিত হল। ব্যাধির প্রকোপ কমাতে রাজনৈতিক ক্ষমতা অনেক বেশি কেন্দ্রীভূত হল। জনজীবনে বাড়ল রাষ্ট্রের আধিপত্য। ব্যাধি নিয়ে জনমানসে হঠাৎই দেখা গেল অতি-সচেতনতা ও অতি-সংবেদনশীলতা। সৃষ্টি হল ব্যাধি কেন্দ্রিক নানান বাক-বিতণ্ডা, দাবি এবং পাল্টা দাবির কোলাহল। সেইসঙ্গে এক ঝাঁক প্রশ্ন ধেয়ে এল জনস্বাস্থ্যবিদ এবং জনস্বাস্থ্য নির্ধারকদের কাছে। কেবল সন্দেহ এবং সন্দেহ উদ্রেককারী কোনও পরীক্ষার ফল দেখেই ব্যাধিকে চিনে নেওয়া যায়? উপসর্গহীন হলেও সন্দেহের বশে ব্যাধিগ্রস্থ বলে কারওর ওপর জুলুম করা যায়? তবে কি ব্যাধিচর্চার আদিমতম রূপ যাদুবিদ্যা এখনও প্রাসঙ্গিক?

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *