উত্তর-পূর্ব ভারতের অর্থনৈতিক গুরুত্ব

মণিপুরের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ, জাতিদাঙ্গা, পুলিশ ব্যারাক থেকে অস্ত্র লুঠ, অগ্নিসংযোগ, বহু মৃত্যু, লক্ষাধিক বে-ঘর, যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ, ধর্ষিতা রমণীদের নিয়ে সাইকোটিক মবের যূথবদ্ধ কদর্য উল্লাস, তার ভাইরাল ভিডিও, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে ৭৯ দিন মণিপুরকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা এবং শেষ পর্যন্ত জাতীয় স্তরে তীব্র প্রতিক্রিয়া, সুপ্রিম কোর্টের কর্কশ ভর্ৎসনার পর অবশেষে হিরন্ময় নীরবতা ভঙ্গ করে প্রধানমন্ত্রীর ২৬ সেকেন্ডের বিবৃতি- পুরো পর্যায় জুড়ে কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার, পুলিশ, প্রশাসন তথা রাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে একের পর এক প্রশ্নচিহ্ন বারবার রাষ্ট্রের ভূমিকার দিকে ইঙ্গিত করছে ও বিশ্লেষণের দাবি জানাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, আসলে পুলিশই বিশেষ গোষ্ঠীর হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল; ধর্ষিতা নারীরা অভিযোগ করেছেন, তাদের পুলিশই বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর হাতে সঁপে দিয়েছিল এবং ঘটনা ঘটার পর FIR নিতে চায়নি; আরও অভিযোগ, প্ররোচনাকে মাত্রাগতভাবে বাড়িয়ে দেবার জন ইম্ফলে কুকি (ইম্ফল জনসংখ্যার ৬ শতাংশ) অঞ্চলে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর সময় তিনটি গির্জা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

এই প্রেক্ষাপটে আমরা রাষ্ট্রের ভূমিকা এবং বিশেষ করে অর্থনৈতিক ও রণনীতিগত নীতি ও কৌশলের সঙ্গে মণিপুরের ঘটনার কোনও বিশেষ সম্পর্ক আছে কিনা সেইদিকে মনোযোগ না দিয়ে পারি না। 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!