‘পুকুর, মরাই, সবজি-বাগান, জংলা ডুরে শাড়ি, তার মানেই তো বাড়ি/ তার মানেই তো প্রাণের মধ্যে প্রাণ নিকিয়ে-নেওয়া উঠোনখানি রোদ্দুরে টান-টান্/ ধান খুঁটে খায় চারটে চড়ুই, দোলমঞ্চের পাশে পায়রাগুলো ঘুরে বেড়ায় ঘাসে।’
সবাই জানে। জানে যে এ কবিতা আমার নয়। তবুও ঘুম না এলে, চোখের পাতায় লাফিয়ে নামে বাড়ি। এই যেমন এখন। এখন রাত একটা বেজে পঁচিশ মিনিট। জেগে আছি ঠায়। একটু আগে পেটা ঘণ্টায় মধ্য-যাম বলেছে রাতের পাহারাওয়ালা। আর তখনই ‘এসো এসো’ বলে বাড়ির ছবি ডেকেছি আমি। এইসব বলে সময়টুকু কাটিয়ে একটা ভোরের দিকে হাঁটা। ভোরের দিকে গেলেই কেমন অল্প অল্প করে কোমল-স্বর লাগে। ভৈরবী যেন পাটে বসেন। লাল হয়ে ওঠা আকাশে জগদবন্দনার প্রস্তুতি। জাগো, মোহন-প্রীতম জাগো। জাগো আলসশয়নবিলগ্ন। ভোরের পাখি জেগে উঠলে আমি ঘুমতে যাব। হয়তো। হয়তো নয়। তবে, এ আমার দৈনন্দিন নয়। ওয়ান্স ইন আ ব্লু মুন।