ডিজিটাল প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নতির ফলে ভ্রমণ ও অভিযানের ধারণা সম্পূর্ণ বদলে গেছে। আগে ভ্রমণ বলতে শারীরিকভাবে যে কোনও একটি স্থানে যাওয়া বোঝালেও, এখন ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমরা পৃথিবীর ইচ্ছেমতো প্রান্তে ‘ভ্রমণ’ করতে পারি। সে ‘ভ্রমণের’ মজা বা উপযোগিতা হয়তো শারীরিক উপস্থিতি সহযোগে ভ্রমণের মতো তেমন স্মৃতিমেদুর বা মনে-প্রাণে হাওয়া লাগার মতো নয়, কিন্তু এখানেও বিস্ময় ও কৌতূহলের মাত্রা তত স্বল্প কিছুও নয়। যেমন, চলচ্চিত্র দেখতে দেখতে আমরা সে ছবির মধ্যে যেভাবে আবিষ্ট হয়ে পড়ি, প্রতিটি চরিত্র, মুহূর্ত ও স্থানকালের অনুষঙ্গে তার অংশভাক হয়ে যাই, তেমনই ডিজিটাল ভ্রমণেও সে অনুভূতিগুলির সর্বত্র প্রকাশ আমাদের আলোড়িত করে। ছোটবেলায় ফেরিওয়ালার কাঠের বায়োস্কোপ বক্সে চোখ লাগিয়ে ‘দিল্লি দেখো, আগ্রা দেখো, তাজমহল কি চমক দেখো’র ওই সামান্য বিস্ময়মুখর ছবিগুলি আমাদের ক্ষণিকের জন্য হলেও ঘুরিয়ে আনত অদেখা প্রান্তর থেকে। আমাদের কারও কারও ইতিহাস ও ভূগোল পাঠে বাড়তি আকর্ষণ হয়তো ওই বাক্সটির গর্ভ থেকেই। বলাই বাহুল্য, আজ সে মাত্রা ও দৃশ্য বহু গুনে বর্ধিত ও প্রসারিত। তবে, প্রত্যক্ষ চক্ষুকর্ণের বিবাদভঞ্জনের বিকল্প যে তা নয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না, কিন্তু ভ্রমণের এ যে আরও এক উপায় বা পথ হতে পারে তা নিয়ে আজ আর কোনও সংশয় নেই। উদাহরণস্বরূপ, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি (AR) প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা বাস্তবের মতো অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন।