আরএসএস’এর হিন্দুত্বের সঙ্গে পরিপূরক হিন্দি। ‘এক দেশ এক ভাষা’ স্লোগান ‘এক দেশ এক জাতি’ ও ‘এক দেশ এক ধর্ম’ নীতির এক্সটেন্ডেড ফর্ম। সংঘের এই এজেন্ডা এবার রূপায়ণ করতে উঠে পড়ে লেগেছে মোদী-শাহ’র সরকার। দেশের ঐক্য বিপন্ন হওয়ার মুখে। তবে ফ্যাসিস্টরা দেশে দেশে এই ভাষা সন্ত্রাস চালিয়েছে অতীতে। এবার ভারতে সেই সন্ত্রাস চালাবার নান্দীমুখ হচ্ছে।
পাঠককে মনে করিয়ে দিচ্ছি, ২০১৯ সালে হিন্দি দিবস উপলক্ষে ভাষণ দিতে গিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আবেদনের ছলে জানিয়েছিলেন, যাতে হিন্দিকে ভারতের ‘সর্বজনীন’ ভাষা করে দেওয়া হয়। একটি টুইটার পোস্টের মাধ্যমে অমিত শাহ বলেন, দেশে এমন একটি সর্বজনীন ভাষার প্রয়োজন যা ‘আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের পরিচিতির ছাপ’ রেখে যায়। তিনি আরও বলেন, হিন্দির ক্ষমতা আছে ‘দেশকে এক সূত্রে ঐক্যবদ্ধ’ করার। বহু ভাষাভাষি ভারত ভূখণ্ডে এর চেয়ে বাতুল মন্তব্য আর কিছু হতে পারে না বলে অনেকেই ভেবে বসেছিলেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, আরএসএস’এর ঘরের লোক আর মোদীর ক্যাপ্টেনশিপে সংসদীয় রাজনৈতিক মঞ্চে উঠে আসা অমিত শাহ বাতুল নন বরং সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যমুখি। আর সেটা এখন বুঝতে পারছেন সকলেই। অতীতে বার বার হিন্দিকে দেশের প্রধান ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করেছেন অমিত শাহ। আরও পড়তে…