‘যে সব জিনিস বিনামূল্যে দেওয়া হয়, তাদের জন্যেই সব চেয়ে বেশি মূল্য দিতে হয় মানুষকে।’ – আলবার্ট আইনস্টাইন।
আজকের ডিজিটাল জগৎ কল্পবিজ্ঞানের অনেক গল্পকেই হার মানিয়ে দিয়েছে।
কল্পবিজ্ঞানের ইতিহাস যথেষ্ট পুরনো হলেও, এই ঘরানাটির নির্দিষ্ট ও সর্বাধিক চাহিদা তৈরি হয়েছিল বিগত শতাব্দীর মাঝামাঝি, পঞ্চাশ এবং ষাটের দশকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। আসিমভ, আর্থার সি ক্লার্ক, রে ব্র্যাডবারি তখন রীতিমতো দাপিয়ে বেড়িয়েছেন, বিশেষত কিশোর মনে। সেই ঢেউ দ্রুত আছড়ে পড়েছিল হলিউডি চলচ্চিত্রে; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যা গভীর প্রভাব ফেলেছিল সমাজের ওপর। তারপর, কল্পবিজ্ঞান যে সব চমকপ্রদ প্রযুক্তির ছবি উপহার দিত, আলোড়িত করত চেতনা ও কল্পনাকে, তারা ক্রমশ দ্রুত বাস্তবায়িত হতে শুরু করল। আর তার সঙ্গে কমতে শুরু করল কল্পবিজ্ঞানের কদর। অতঃপর, শূন্যস্থান পূরণের নিয়মে, সেই জায়গাটা দখল করল অদ্ভুতূড়ে কাণ্ডকারখানা দিয়ে গড়া ফ্যান্টাসির কল্পকাহিনী। হ্যারি পটার, লর্ডস অফ দ রিংস যার কতিপয় নিদর্শন। রোমহর্ষ থাকলেও, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির রসকষ, যুক্তিবুদ্ধি তাতে নেই বললেই চলে। বরং, যুক্তিবুদ্ধি গুলিয়ে দেওয়াই তাদের শিল্পকৌশল!