নদীয়া জেলার শালিগ্রামে আমি জন্মেছি। এটা নাকাশিপাড়া থানার অন্তর্গত। এই থানায় আরেকটি শালিগ্রাম বা শালি-গ্রামের অস্তিত্ব আছে। তবে সেটা আলাদা ব্যাপার। সুধীর চক্রবর্তীর একাধিক রচনায়, বিশেষ করে সাহেবধনি সম্প্রদায়ের ইতিবৃত্ত পড়তে গিয়ে শালিগ্রামের কথা একাধিকবার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। অনেকেই বলেন, রাজা শালিবাহনের নাম অনুসারে শালিগ্রামের উৎপত্তি হয়েছে। একই নামের একাধিক স্থানের উল্লেখ নতুন কিছু নয়। তবে আমার জন্মস্থান শালিগ্রামের আলাদা রকমের তাৎপর্য রয়েছে। এর একটি হল প্রাচীন জনপদ হিসাবে একাধিক নিদর্শন। মূল শালিগ্রাম এখন কৃষিক্ষেত্রে রূপান্তরিত হয়েছে। কিন্তু এর ব্যাপ্তি চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে।